আগস্ট ৭, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ

গোপন ভিডিও ধারণ করে মাদ্রাসার ২৫ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

টাঙ্গাইল শহরের হযরত ফাতেমা (রা.) মহিলা মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে গোপন ভিডিও ধারণ করে অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর মা বুধবার বিকালে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এদিকে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক ওবায়দুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বিচারের দাবি করেন।

মামলা ও মামলার বাদীর সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার এনায়েতপুরে হযরত ফাতেমা (রা.) মহিলা মাদ্রাসায় (১০) বছরের এক শিশুকে প্রায় দেড় বছর আগে হেফজ বিভাগে ভর্তি হয়। ওই প্রতিষ্ঠানে আবাসিকে থেকে ওই শিক্ষার্থী পড়ালেখা করত। কিন্তু এ সুযোগে প্রতিষ্ঠান পরিচালকের ছোট ভাই ও মাদ্রাসা শিক্ষক ওবায়দুল্লাহ ওই শিশুকে মিথ্যা টাকা চুরির অপবাদ দেয়। এরপর গত ২৭ জুলাই সকালে শিক্ষক ওবায়দুল্লাহ মোবাইল দিয়ে শিক্ষার্থীকে টয়লেটে গিয়ে উলঙ্গ হয়ে ভিডিও ধারণ করে চুরির স্বীকারোক্তি দিতে বলে। বিষয়টি রাজি না হওয়ায় জিন দিয়ে ক্ষতি করার হুমকি এবং জবাই করে হত্যা করার হুমকি দেয়।

পরে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে হুমকির ভয়ে টয়লেটে নিয়ে উলঙ্গ হয়ে ভিডিও ধারণ করে। ওই শিক্ষক বোরকা খুলে তার অফিস রুমে যেতে বলেন; কিন্তু সে রাজি না হওয়াতে উলঙ্গ ভিডিও ভাইরাল এবং বঁটি দিয়ে জবাই করে হত্যার হুমকি দেয়।

পরবর্তীতে হুমকির ভয়ে বাধ্য হয়ে তার অফিস কক্ষে গেলে গামছা দিয়ে শিক্ষার্থীকে চোখ বেঁধে ফেলে জোরপূর্বক ধর্ষণচেষ্টা করে। পরে গত ২৮ জুলাই মাদ্রাসা ছুটির পর বাড়িতে গিয়ে ওই শিক্ষার্থী পরিবারকে খুলে বলেন। বিষয়টি মাদ্রাসার পরিচালকে জানালে তিনি তার ভাইকে অজ্ঞাত স্থানে পাঠিয়ে দেন। বিষয়টি একে একে বের হতে থাকে। এভাবে ওবায়দুল্লাহ আরও ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টাসহ তাদের ভিডিও ধারণ করে।

মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বলেন, আমার মেয়েসহ আরও ২০ থেকে ২৫ জনের সঙ্গে এমন করেছে। আমি এ ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবি করছি। প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য অভিভাবকরাও দোষীদের শাস্তির দাবি করেন।

টাঙ্গাইল সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।