গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহি রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে বলে জানিয়েছেন এর সহ সভাপতি আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পথরেখা তৈরিতে সবার লক্ষ্য এক, অভিন্ন। দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমত থাকলেও অনেক বিষয়ে একমত হওয়ার আশা রয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আলোচনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বিরাজমান প্রেক্ষাপটে সিপিবির ভূমিকার প্রশংসা করে ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, আজকে রাষ্ট্র কাঠামোর পুনর্গঠন, পুনর্বিন্যাসের জন্য যে আলোচনা, সংস্কারের জন্য যে আলোচনা আপনাদের দীর্ঘদিনের সংগ্রামের একটা অংশ। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরি করতে ঐকমত্য কমিশন চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ। যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পথরেখা তৈরি হবে, তার একটা ধারণা পেতে পারি, একটা পথ চিহ্নিত করতে পারি। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছি।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, আলোচনার টেবিলে দুই পাশে বসলেও সবার লক্ষ্য এক। যে লক্ষ্যে সিপিবি দীর্ঘদিন যাবত দল হিসেবে সংগ্রাম করেছে, তারই ধারাবাহিকতা। ফলে আজকের এ আলোচনার মধ্য দিয়ে আলোচনা শেষ হবে তা ভাবার কারণ নেই। এখন কাঠামোগত পরিবর্তনগুলো আরও সুনির্দিষ্ট করা এবং তা বাস্তবায়নের পথ তৈরি করা আমাদের কাজ। ফ্যাসিবাদী শাসনকে পরাস্ত করা বিজয়ের এক ধাপ মাত্র। নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষা, ক্ষমতা, সমতা নিশ্চিত, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা দীর্ঘমেয়াদি সংগ্রামেরই অংশ।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্নমত থাকবে, অনেক বিষয়ে আমরা একমত হতে পারব।
সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, মিহির ঘোষ, অধ্যাপিকা এ এন রাশেদা, কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, কাজী রুহুল আমিন, রাগিব আহসান মুন্না, সাজেদুল হক রুবেল, আবিদ হোসেন ও অধ্যাপক ফজলুর রহমান ছিলেন প্রতিনিধি দলে। অন্যদিকে ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, বিচারপতি এমদাদুল হক, বিশেষ সহকারী মনির হায়দার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, আলোচনার টেবিলে দুই পাশে বসলেও সবার লক্ষ্য এক। যে লক্ষ্যে সিপিবি দীর্ঘদিন যাবত দল হিসেবে সংগ্রাম করেছে, তারই ধারাবাহিকতা। ফলে আজকের এ আলোচনার মধ্য দিয়ে আলোচনা শেষ হবে তা ভাবার কারণ নেই। এখন কাঠামোগত পরিবর্তনগুলো আরও সুনির্দিষ্ট করা এবং তা বাস্তবায়নের পথ তৈরি করা আমাদের কাজ। ফ্যাসিবাদী শাসনকে পরাস্ত করা বিজয়ের এক ধাপ মাত্র। নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষা, ক্ষমতা, সমতা নিশ্চিত, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা দীর্ঘমেয়াদি সংগ্রামেরই অংশ।