জুলাই ৯, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ

খাগড়াছড়িতে ভারী বর্ষণে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত, দীঘিনালা-লংগদুর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মাইনী নদীর পানি বেড়ে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল থেকে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠতে শুরু করেছে। এতে চিটাইগ্যাংয়া পাড়া, নিচের বাজারসহ কয়েকটি পাড়ার লোকজন একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেড কোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ার রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ দুপুর থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে মেরুং বাজার ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মেরুং ইউনিয়ন নারী ইউপি সদস্য জমিলা খাতুন বলেন, ‘আমাদের নিচু এলাকা গত জুনের শুরুতেও ডুবেছে। এবারও একই অবস্থা। বৃষ্টি বাড়ছে । নদীতে পানি বাড়লে আমাদের মেরুং বাজারও ডুবে যাবে। ইতিমধ্যে ৫০ পরিবার ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। আরও মানুষ আসছে। তাদের জন্য সরকারিভাবে ত্রাণসহায়তা দেওয়া হবে।’

দীঘিনালা দ্বিতীয় শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা সূভূতি চাকমা বলেন, খাগড়াছড়িতে বিকেল পর্যন্ত ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে বেড়েছে পাহাড়ধসের ঝুঁকি।

খাগড়াছড়ি পৌর শহরের শালবন, কুমিল্লা টিলা, সবুজবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের ওপর ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে সাড়ে তিন হাজার পরিবার। টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে মাইকিং করছে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের জন্য জেলা সদরে তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

প্রাণহানি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার । তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। অনেকে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন। টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কা বেড়েছে। পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে গেছে। কিন্তু বারবার অনুরোধ করার পরও তারা বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন না। তারপরও আশ্রয়কেন্দ্রে যাঁরা গেছেন, আমরা তাঁদের রান্না করা খাবার ও পানি দিচ্ছি।’

এদিকে, খাগড়াছড়ির সিন্দুকছড়ি জালিয়াপাড়া সড়কের কয়েকটি এলাকায় মাটি ধসের ঘটনা ঘটেছে। খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, সিন্দুকছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়কে কয়েকটি স্থানে সড়কের মাটি ধসে গেছে। সড়ক বিভাগের কর্মীরা গিয়ে মাটি সরিয়ে নেয় পরে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।