কুমিল্লার মুরাদনগরে মাদক বেচাকেনার অভিযোগে এক নারী ও তাঁর দুই ছেলে–মেয়েকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ওই নারীর আরেক মেয়ে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কড়ইবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাদক–সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এলাকার লোকজন তাঁদের ওপর হামলা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন কড়ইবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার ওরফে রুবি (৫৩), তাঁর ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে জোনাকি আক্তার (২৫)। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন রোকসানার আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (৩০)
এ সম্পর্কে মুরাদনগরের বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, পরিবারটির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে মাদক–সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। এর জের ধরেই এলাকাবাসী পিটিয়ে ও কুপিয়ে তাঁদের হত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি।’
দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে থাকা ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আজ সকালে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, একসঙ্গে তিনটি মরদেহ পড়ে রয়েছে। তাঁদের গণপিটুনি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’
স্থানীয় তিনজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে তাঁদের বিরোধ ছিল। আজ সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে নতুন করে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন গণপিটুনি ও কুপিয়ে তাঁদের হত্যা করে।