মে ১৯, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ

করিডোর নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও সেনা প্রধানের দন্দ-পররাষ্ট্র সচিব জসিমও আছেন তালিকায়

সূত্রের খবর অনুযায়ী সম্প্রতি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে ব্যাপক কোন্দল দেখা দিয়েছে। সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানকে নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে। কিছুদিন আগে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা করেছিলেন বেশ কয়েকজন সেনাকর্তা। কিছুদিন আগে গত ১১ই মে বর্তমান সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামরুল হাসানকে বরখাস্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সেনা প্রধান। তবে প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপে তা সম্ভব হয়নি! জানা যায়, কামারুল হাসানের নিয়োগ হয়েছিল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। তাই তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত একমাত্র ইউনূসই নিতে পারেন, এমনটাই নাকি আইন।
শুরুটা গত জানুয়ারিতে, পাকিস্তান সফর করেছিলেন সশস্ত্রবাহিনী প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামারুল হাসান। সূত্র থেকে জানা যায়, জানুয়ারিতে পাকিস্তানে পৌঁছে সেদেশের সেনাপ্রধান আসিম মুনির ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় বসেন তিনি। আর এরপর থেকেই মিয়ানমার করিডোর নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে বিভেদ প্রকাশ্যে আসে। প্রশ্ন উঠেছে হাসানের ভূমিকা নিয়েও।
এদিকে পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনকে অপসারণের চেষ্টা করছেন ইউনূস। বেশ কয়েকটি সূত্র অনুযায়ী, মিয়ানমারে সম্ভাব্য করিডোর নিয়ে আমেরিকার পরিকল্পনায় সায় ছিল প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের। খলিলুর রহমান নিজে একজন আমেরিকান নাগরিক। নর্থইস্ট নিউজ জানিয়েছে, নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনকে অপসারণের কথা ভাবছেন। কারণ অন্তর্বর্তী সরকারের মিয়ানমার করিডোরের বিরোধী ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন। জানা যায়, শুধুমাত্র জসীম উদ্দিন নন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিংহভাগই এই করিডোর নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।
বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা মিয়ানমার মানবিক করিডোরের বিরুদ্ধে। ওই কর্মকর্তা মনে করেন, বাংলাদেশ সরকার যে করিডোর নিয়ে আমেরিকার পরিকল্পনা মোতাবিক চলছেন তা মূলত বাংলাদেশের সর্বভৌমত্বের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। জানা যায়, সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানও নাকি সেই বিষয়ে একমত। বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, সেনাবাহিনীতে বিভাজনের খবর সামনে এলেও সেনা বাহিনীর বেশিরভাগই বর্তমান সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানকে সমর্থন করছেন।