ভারতের উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর ধারালি গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে অন্তত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কমপক্ষে ৫০ জন নিখোঁজ বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা তাদের খোঁজ চালাচ্ছেন।
উত্তরকাশীর প্রশাসনের দাবি, এখন পর্যন্ত চার জনের মৃত্যু এবং কিছু সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে।
ভারতের গণমাধ্যম স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে কাছাকাছি আরও একটি জায়গায় মেঘ ভেঙেছে, যার ফলে নতুন করে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
দুপুরের মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে রাজ্যের উত্তরকাশী জেলার একটি ভিডিও এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে,পাহাড়ের গভীর খাদ বেয়ে নেমে আসা জলস্রোত এবং মাটি ও পাথর আছড়ে পড়ছে একটি গ্রামের ওপরে এবং একাধিক ভবন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে।
হর্ষিল উপত্যকার ওই গ্রামটির নাম ধরালী। গঙ্গোত্রী যাওয়ার রাস্তায় পড়ে এই গ্রামটি।
গ্রামের বাসিন্দা আস্থা পাওয়ার ওই ভয়াবহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি রাস্তা থেকে একটু দূরে। এমনটা নয় যে একবারের জলস্রোতেই সব কিছু ভেসে গেছে। প্রথম যে স্রোতটা নেমে এসেছিল, সেটা প্রবল বেগে ধেয়ে এসেছিল, যথেষ্ট ভয়াবহ ছিল ওটা। ওই ভিডিওটাই সম্ভবত সবাই দেখছেন।’
‘তারপর প্রয় ১০-১৫ বা ২০ মিনিটও হতে পারে, একের পর এক পাথর আর মাটির স্রোত আসতে থাকে। সেগুলোতে হোটেল ভেঙে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল। একেকবারে একটা বা দুটো করে হোটেল ভেঙে পড়ছিল,’ জানান পাওয়ার।
তাদের কোনো রকম সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার কাজের দিন, বাচ্চাদের স্কুলও ছুটি ছিল না। কারও কোনো ধারণাই ছিল না এত বড় ঘটনা হতে চলেছে।
উল্লেখ্য, প্রচুর পরিমাণে উষ্ণ মৌসুমি বায়ু কনকনে ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে এলে ঘন মেঘের সৃষ্টি হয়। উষ্ণ বাতাস ওপরের দিকে উঠতে থাকলে মেঘে সঞ্চিত জলকণা বৃষ্টি হয়ে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ঝরে পড়তে বাধা পায়। ফলে মেঘের ঘনত্বও ক্রমশ বাড়তে থাকে। পরে বাতাসের আঘাতে মেঘ ফেটে জল বেরিয়ে আসে, তবে সেটা বৃষ্টির চেয়ে অনেকগুণ ভারী হয়।
সুত্র – বিবিসি