অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনুস কখনোই বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন প্রফেসর ইউনেস কে সবচেয়ে বেশি সুবিধা দিয়েছিলেন তিনি। সেখ হাসিনা বলেন এ পর্যন্ত প্রফেসরকে নিয়ে যতগুলো মন্তব্য তিনি করেছেন সবগুলোই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। প্রফেসর ইউনুস শুধুমাত্র নির্বাচনের আওয়াজ উড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। শেখ হাসিনা বলেন প্রফেসর ইউনুস যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা দেখিয়ে বলবেন নির্বাচনের বর্তমানে কোন পরিবেশ নেই।
শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেইজে দেয়া ভাষণে তিনি একথা বলেন। ভিডিওটি দেখতে ভিজিট করুন: https://youtu.be/mn47BKr5ycc
শেখ হাসিনা বলেন প্রফেসর ইউনুস সাম্প্রতিক সময় বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়াচ্ছেন দেশের মানুষ তাকে চায়। তিনি প্রশ্ন রাখেন দেশের কোন মানুষ প্রফেসর ইউনুসকে ক্ষমতা দেখতে চায়।
শেখ হাসিনা বলেন প্রফেসর ইউনুস টাকা দিয়ে ৪০ জনের একটা টিম তৈরি করেছে যা দিয়ে কর্পোরেট স্টাইলে প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাবলিসিটি করে বেড়াচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। চুরি ডাকাতি ছিনতাইয়ের কারণে মানুষের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন নারীদের স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়েছে। যেসব নারীরা স্বাধীনতার নামে রাতভর আন্দোলন করেছিল সেই সব নারীরা এখন ঘরে জিম্মি হয়ে আছেন। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন তারা যেন এখন ভেবে দেখে তারা আগের তুলনায় এখন কেমন আছেন?
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে তাকে স্বৈরাচারী গণহত্যাকারী এবং খুনি বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন সেই সময় তার সরকার যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছিলেন সেটা কেন বন্ধ করা হলো। শেখ হাসিনা বলেন তাহলে কি প্রকৃত খুনিদেরকে আড়াল করতেই এই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন প্রত্যেকটা লাশের ফরেনসিক রিপোর্ট বের করলে আসল খুনিদের মুখোশ সামনে চলে আসবে। তিনি বলেন আন্দোলনের সময় যে বুলেট এবং অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল সেই সমস্ত বুলেট কারা বাংলাদেশে এনেছিল, কারা ব্যবহার করেছিল তার প্রকৃত তদন্ত হওয়া উচিত। পুলিশ স্টেশন পুড়িয়ে যারা অস্ত্রলোট করেছে এবং অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করছে সেগুলোর প্রকৃত তদন্ত করলেই আসল অপরাধী বের হয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ কারী প্রফেসর ডঃ ইউনুস এখন ক্ষমতার চেয়ারের সঙ্গে সুপার গ্লুর মতো আটকে গেছে। সে কখনোই এই ক্ষমতা ছেড়ে যাবে না, ছেলে ভোলানো নানা কথা বলে শুধুমাত্র সময় পার করবে কিন্তু নির্বাচন দেওয়ার কোন উদ্যোগ সে গ্রহণ করবে না।
শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন এসব যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা এবং মানবিক করিডোর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু? যেখানে মায়ানমারে বিস্তর ফাঁকা জায়গা রয়েছে। তাহলে বাংলাদেশকেই কেন করিডোর হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। তিনি বলেন এই মানবিক করিডর বাংলাদেশকে অনেক বড় বিপদের সম্মুখীন করবে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা, অর্থনীতি, সামাজিক নিরাপত্তা সবকিছু ব্যাহত হবে এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ব্যাহত হবে।
শেখ হাসিনা বলেন তার সময়ে বাংলাদেশের বর্ডার গুলো সিল করা ছিল। এখন তাহলে এই অন্তর্বর্তী সরকার কেন বারবার বলছে যে তারা বর্ডারে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। তিনি বলেন প্রফেসর ইউনুস যেখানে রাষ্ট্র চালাতে ব্যর্থ সেখানে তাহলে কেন তিনি রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিলেন। ইউনুসের এই ব্যর্থতা রাষ্ট্রকে বিপদের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ও আরাকান আর্মি ছিল কিন্তু বর্ডারের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতেই ছিল। তিনি বলেন মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই দেশের অর্থনীতি এবং স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি বলেন দেশ নিয়ে ইউনূসের কোন চিন্তা নেই কারণ বিদেশে তার বিপুল পরিমাণ অর্থ রয়েছে তিনি যেকোনো সময় দেশের বাইরে চলে যাবেন দেশের মানুষ পড়বে মহাবিপদে।
শেখ হাসিনা বলেন শ্রমিকের আদালতের সাজা প্রাপ্ত এবং শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎকারী ইউনূসের রাষ্ট্র পরিচালনা করার কোন অধিকার নেই। তিনি বলেন ইউনুস অসংবিধানিকভাবে এবং অবৈধভাবে বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। তাকে ক্ষমতার থেকে হটিয়ে দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হবে। কৃষক, শ্রমিক এবং মেহনতী মানুষের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। মানুষের জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে হবে।