মে ১২, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বিশ্ব রাজনীতি

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে ‘সরাসরি আলোচনার’ প্রস্তাব পুতিনের

ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি, আমরা অবিলম্বে আলোচনা শুরু করতে চাই। এটি ১৫ই মে থেকেই শুরু হতে পারে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার রাতে টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে পুতিন বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে গুরুতর আলোচনার জন্য প্রস্তুত। সংঘাতের মূল কারণগুলোর সমাধান করা এবং একটি দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় পৌঁছানোই আমাদের লক্ষ্য।’

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেন সফর এবং রাশিয়াকে আগামী সোমবার থেকে যুদ্ধবিরতির জন্য ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য আলটিমেটাম দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন এই প্রস্তাব দিলেন।
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে একসঙ্গে পা রাখেন ইউরোপের চার প্রধান দেশের শীর্ষ নেতা। কিয়েভে দাঁড়িয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে স্পষ্ট ভাষায় তারা জানিয়ে দেন, সোমবারের মধ্যে যুদ্ধ থামাতে হবে। নইলে আসছে অস্ত্র ও নিষেধাজ্ঞার ঝড়। এসময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে নেতারা একসঙ্গে ফোন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।

ফোনালাপের পর সম্মেলনে জেলেনস্কি জানান, এই যুদ্ধবিরতি আকাশ, সমুদ্র ও স্থল—সব কিছুর জন্যই প্রযোজ্য। রাশিয়া যদি না মানে, তাহলে ব্যাংক ও জ্বালানি খাতে আরও নিষেধাজ্ঞা আসবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এদিকে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইনও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, মস্কো যদি সুযোগ হাতছাড়া করে, তবে ইউরোপ কঠিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস সতর্ক করে বলেন, যদি পুতিন রাজি না হন, তাহলে ইউক্রেনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিকভাবে পশ্চিমা সহায়তা শুধু চলবেই না, আরও বাড়বে।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে কিয়েভ-মস্কোর সরাসরি আলোচনার আহ্বান জানান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বিশ্বের শান্তির পথে একমাত্র বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে রাশিয়া বলে অভিযোগ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।