মঞ্জুরে খোদা টরিক : ট্রাম্প হবেন একজন আমেরিকার মাথা মোটা রাষ্ট্র প্রধান ও রাজনীতিক। সে ক্রিটিকালি চিন্তা করতে ও কোন ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া ভাবতে অক্ষম। তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, ডলার হটাতে ব্রিকস মুদ্রা চালু হলে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। ব্রিকস সদস্য কারা? চীন, রাশিয়া, ভারত, ব্রাজিল, ইরান, দক্ষিন আফ্রিকাসহ মোট ১০টি দেশ। চীন-ভারত যোগ করলেই বিশ্বের অর্ধেক মানুষ। সব মিলিয়ে দুই-তৃতীয়াংশ তারাই। বিশ্ব সম্পদ ও বাণিজ্যের ৭০ ভাগ ব্রিকস ভুক্ত দেশগুলোই নিয়ন্ত্রণ করে। সামরিক দিক থেকেও যোগ করলে এরা শীর্ষে।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে চীন, ভারত, রাশিয়া, ব্রাজিল, ইরানসহ অন্যান্য দেশেও যারা যার মুদ্রায় বাণিজ্য করছে। যে কারণে পশ্চিমাদের নজীরবিহীন বাণিজ্যিক অবরোধ রাশিয়ার তেমন ক্ষতি করতে পারেনি, পারেনি ইরানেরও।
১০০ ভাগ শুল্ক দিয়ে তারা যদি মার্কিন দেশে বাণিজ্য করে তাহলে তাদের পণ্য মূল্য দ্বিগুন হবে, তাতে তাদের নাগরিকদের ক্রয় ক্ষমতা ও আয় কমে যাবে। আর যদি ব্রিকস দেশগুলো অধিক শুল্কে মার্কিন দেশে বাণিজ্য না করে তাহলে তাদের পণ্য সংকট হবে? তাতে কার ক্ষতি হবে?
চীন দেশে বড় বড় কোম্পানীর বিনিয়োগ কাদের? তাদের দেশেরই অধিক? তারা এ সব দেশ থেকে সস্তা ব্যবস্যা করে তাদের দেশে মুনাফা নিয়ে যায়। তার সরকার কর পায়। তাহলে ক্ষতিগ্রস্থ কারা হবে? ব্রিকস তো অধিক জনসংখ্যার দেশ, তারা নয় বাণিজ্য কৌশল ঘুরিয়ে নিতে চেষ্টা করবে কিন্তু আমেরিকা কি করবে? বিশ্বের বড় বাজার তো চীন-ভারত, তাদের অর্থনীতি হুমকিতে পড়লে তারা কি চুপ করে বসে থাকবে? এ জন্য বলি ট্রাম্প হচ্ছে তলা চিন্তা না করা এক উগ্রজাতীয়তাবাদী রাজনীতিক।
তিনি ব্রিকসের সদস্যদেশগুলোকে নতুন কোনো মুদ্রা চালু করতে নিষেধ করেছেন। বিশ্ববাণিজ্যে মার্কিন ডলারকে প্রতিস্থাপিত করতে পারে বা এই মুদ্রাকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো মুদ্রায় বাণিজ্য চলতে পারে না। আহ, ট্রাম্পের মামা বাড়ির আব্দার! বিশ্ব আর এককেন্দ্রীক নাইরে পাগল.. সেই দিন অতীত হয়েছে! লেখক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক। ফেসবুক থেকে