মঞ্জুরে খোদা টরিক : এরা আসলে কারা, এদের এজেন্ডা কী? তাহলে আমরা কি তাই এতটা গণপ্রতারণার স্বীকার? এরা একদা ছাত্রলীগ-হাসিনার নামে স্লোগান দিয়েছে? তা মানুষ এতটা বেঈমান, বাটপার হতে পারে? মতিয়া চৌধুরী আমার দলের নেত্রী ছিলেন যে দলের নেতা আমিও ছিলাম। তাঁর প্রতি ক্রোধ-ক্ষোভ-ঘৃণা আমারও আছে কিন্তু একজন মতিয়াকে আমরা তৈরী করেছিলাম যা গত ৭০ বছরেও আর হয়নি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানের সাথে কি অন্য কোন কিছুর তুলনা চলে, হবে?
এই দুইদিনের ছেলে-ছোকড়ারা কি বলে? মতিয়া’রা এই রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলে রাষ্ট্রীয় সন্মান তাঁর প্রাপ্য, কারো দয়া-দানের বিষয় নয়। মতিয়া আপাকে যখন সেই সম্মান না দেওয়া হয় তখন স্পষ্টত মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করা হয়। এটা স্পর্দ্ধা, সীমাহীন ক্ষমাহীন ধৃষ্টতা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়া চৌধুরীর অসম্মান সকল মুক্তিযোদ্ধা অপমান! মুক্তিযোদ্ধাদের বলা উচিত তারা এই সরকার কোন রাষ্ট্রীয় সন্মান নেবেন না। সরকারে দুইজন মুক্তিযোদ্ধা আছেন। তারাও কি মনে করে কাজটি ঠিক হয়েছে? ক্ষমতা শুধু হাসিনার নয় সবার প্রিয়। সুযোগের অভাব আসলে সবাই ভালোর ভান ধরে থাকে। ইউনুসকেও দেখছি প্রতিসিংসা ও ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধে নন।
মতিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী! ফ্যাসিস্টের মূল সহযোগী হচ্ছে আমলারা, তাদের পশমটা কি ছুতে পেরেছেন? ফ্যাসিস্ট সরকারকে কর, খাজনা, ট্যাক্স দেননি? সেটা সহযোগীতা নয়?
৩৪ দিনের আন্দোলন করে নিজেদের মহা ক্ষমতাবান ভাবা শুরু করছেন? ভাইরে, কোন ঘটনায় গণেশ উল্টে যাবে ভাবতেও পারছেন না? বঙ্গভবন থেকে জেলখানা বেশি দূরে নয়। এখন যারা সেখানে ঢুকছে তারা বুঝতে পারছে। বুঝতেই পারছেন না আপনাদের জনসমর্থনের পারদ এখন কোথায়? লেখক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক