জুলাই ৩, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
রাজনীতি

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্রলীগের নানা আয়োজন

আগামীকাল (সোমবার) ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। রোববার (২২ জুন) সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনান এক বিবৃতিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

বিবৃতিতে ছাত্রলীগ জানায়, ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বাঙালির জন্য একটি স্বাধীন দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বিশ্বের বুকে ‘বাংলাদেশ’ রাষ্ট্র হিসেবে জন্মলাভ করে, যার বীজ বপন হয় ১৯৪৯ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সবাইকে শুভেচ্ছা।

‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেবলমাত্র একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং বাঙালির প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় আওয়ামী লীগের নীতি-কৌশল-কর্মসূচি গভীরভাবে সম্পর্কিত, যা অর্জিত হয়েছে বছরের পর বছর ধরে বাঙালি-বাংলাদেশের জন্য আওয়ামী লীগের অভূতপূর্ব অর্জন, অপরিসীম সংগ্রাম এবং অপরিমেয় আত্মত্যাগের মাধ্যমে।’

মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার, মানুষ হিসেবে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার, নিজেদের জন্য একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার অধিকার, পছন্দমত কর্মসংস্থানের অধিকার, ভোটদানের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের অধিকার, উপযুক্ত শিক্ষাগ্রহণ ও সংস্কৃতি পালনের অধিকার, উন্নত জীবনযাপনের অধিকার, সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের অধিকার- প্রতিটি অর্জিত হয়েছে আওয়ামী লীগের সংগ্রামের মাধ্যমে, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে। এভাবেই আওয়ামী লীগ বাঙালির অনুভূতিতে, বাংলাদেশের অস্তিত্বে মিশে গেছে, বলা হয় ছাত্রলীগের বিবৃতিতে।

এতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাকিস্তানি বাহিনী এবং স্বাধীনতা-গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির দ্বারা ধারাবাহিক আক্রমণ-নির্যাতন-অত্যাচারের সম্মুখীন হয়েছে আওয়ামী লীগ ও এর নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভাকাঙ্খী সাধারণ জনগণ। আইয়ুব থেকে ইয়াহিয়া, জিয়া থেকে এরশাদ, গোলাম আজম থেকে খালেদা, ইউনূস থেকে তারেক প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগের উপর নির্মম দমন-পীড়ন চালিয়েছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ জনগণের হাত থেকে ছিনিয়ে স্বার্থান্বেষী সাম্রাজ্যবাদী বা উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠির হাতে তুলে দেয়ার জন্য। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ প্রতিবার বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের জন্য রক্ষাকবচ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এই রাষ্ট্রে ধর্ম-বর্ণ-জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের সম্মিলিত মালিকানা প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগ সব হারিয়েও কখনো আপোষ করেনি, কখনো করবে না। একারণেই প্রতিটি দমন-পীড়ন, আক্রমণ-নির্যাতনের মুখেও আওয়ামী লীগ ক্ষয়িষ্ণু না হয়ে, ধ্বংস না হয়ে বরং পূর্বের চেয়েও অধিক শক্তি নিয়ে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে, জনসমর্থন নিয়ে ফিরে এসেছে, টিকে থেকেছে, নেতৃত্বদান করেছে। এক্ষেত্রে আইয়ুব থেকে শুরু করে প্রত্যেকেরই করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়েছে, আগামীতেও হবে। বাংলার জনগণ এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র তার নিজের প্রয়োজনেই আওয়ামী লীগকে নিজেদের রক্ষাকবচ হিসেবে প্রতিবার আগলে রেখেছে।

ছাত্রলীগ জানায়, বাংলার তরুণ সমাজ আজ এক ঐতিহাসিক ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের সাথে অঙ্গিকার করছে যে- বাংলাদেশ রাষ্ট্র টিকিয়ে রাখার এই চ্যালেঞ্জ এবং বাংলাদেশের মানুষের নিরাপদ ও সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত নিশ্চিতের সংগ্রামে পুর্বপুরুষের ন্যায় আজকের প্রজন্মও আওয়ামী লীগের সাথে রয়েছে জীবনের শেষ রক্তবিন্দু বিসর্জন হওয়া পর্যন্ত। প্রিয় আওয়ামী লীগ, তুমি শুধু বৈঠা ধরে রাখো কাঙ্ক্ষিত সেই বন্দর অভিমুখে।

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ছাত্রলীগের কর্মসূচি:

১. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
২. বাঙালির স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
৩. প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে মিছিল ও সমাবেশ
৪. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্যাম্পেইন, ওয়েবিনার, আলোচনা ইত্যাদি আয়োজন
৫. অসহায়ের মাঝে খাবার বিতরণ ও সহযোগীতা
৬. শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধ, সংস্কৃতি, বিজ্ঞানভিত্তিক বই উপহার
৭. বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ