অর্ন্তবর্তী সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
আজ রোববার (১১ মে) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায় থেকে শুরু করে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদান, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে, মৌলবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, নারীর অধিকার-ব্যক্তিস্বাধীনতা-উদার মূল্যবোধ-সামাজিক সুবিচার-সমতার দৃপ্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এদেশের অস্তিত্বের সাথে, মানুষের নিঃশ্বাসে মিশে থাকা নাম।
ছাত্রলীগ জানায়, পৃথিবী যতোদিন থাকবে, বাঙালির ঘরে একটি শিশুও যতোদিন জন্মগ্রহণ করবে, যতোদিন পদ্মা-মেঘনা-যমুনা-ব্রহ্মপুত্র প্রবাহিত হবে অনাবিল ততোদিন বাংলাদেশের সাথে আওয়ামী লীগের নাম অবিচ্ছেদ্যভাবে উচ্চারিত হবে।
“ইতিহাসে বারবার আওয়ামী লীগের উপর অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শ-কর্মসূচিতে বিশ্বাস রাখা কর্মী-সমর্থকদের উপর প্রতিষ্ঠা থেকেই পরিকল্পিত গণহত্যা চালানো হয়েছে। প্রতিবারই এদেশের মানুষ বুকের তাজা রক্ত আর পরম ভালোবাসা-মমতায় আওয়ামী লীগকে পুনর্জীবিত করেছে, আওয়ামী লীগের রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামীতেও মানুষই টিকিয়ে রাখবে আওয়ামী লীগকে- তার অস্তিত্বে, বিশ্বাসে, কর্মে, দৈনন্দিন যাপিত জীবনে।”
“বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ দল-মত-নির্বিশেষে অবৈধ-দখলদার-ফ্যাসিস্ট সরকারের বেআইনি সিদ্ধান্ত ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করে। এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের কালো অধ্যায়, মৌলিক-নাগরিক-রাজনৈতিক অধিকার সম্পূর্ণ জলাঞ্জলি দেয়ার উপাখ্যান, গণমানুষের উপরে পরিচালিত গণহত্যা ও নির্যাতনের স্টিম রোলার বিস্তৃত করার অপপ্রয়াস। একইসাথে আমরা মনে করি এর চূড়ান্ত লক্ষ্য- বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত, উগ্রবাদী ধর্মান্ধ ও ব্যার্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা এবং গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন কে বিলম্বিত করে ইউনূস গংদের দেশ-স্বাধীনতা-গণতন্ত্র বিক্রয়ের বিনিময়ে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা-সম্পদ-বৈভবের পরিসর বাড়ানো।”
“বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ সুস্পষ্টভাবে বলতে চায় ক্ষমতা জবরদখলকারী অপশক্তি গণতন্ত্রের হন্তারক, সার্বভৌমত্ব ব্যবসায়ী, বৈশ্বিক বিস্তৃত উগ্রবাদী সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের অংশ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতি তরুণ প্রজন্মের নিখাদ ভালবাসা, অপরিসীম মমত্ববোধ, গাড় অনুভূতিই অপশক্তির নিগড় থেকে বাংলা মা কে মুক্ত করবে”, বলা হয় বিবৃতিতে।
ছাত্রলীগ জানায়, ইয়াহিয়া থেকে ইউনূস, প্রত্যেক ঘাতক ফ্যাসিস্টের বিচার করবে এদেশের জনগণ। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে নির্বিঘ্নে দেশ বিক্রির পায়তারা মানুষ কড়ায়গণ্ডায় বুঝিয়ে নিবে। পৃথিবীর কোন অপশক্তিই ইউনূসকে রক্ষা করতে পারবে না, ইয়াহিয়াকেও যেমন পারেনি।
“বাংলার মানুষের প্রতি আহ্বান- আপনার প্রয়োজনে, আপনার সন্তানের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের কারণে, আপনার মাতৃভূমির স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মৌলিক শর্ত হিসেবে অগণতান্ত্রিক জবরদখলকারীর বিদায়ের জন্য- যে যেভাবে পারেন রুখে দাঁড়ান, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন, ঐক্যবদ্ধ হোন। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানুষের অধিকারই আমাদের গন্তব্য। আমাদের সম্মিলিত প্রতিরোধই ইউনূস সহ সকল অপশক্তির দর্পচূর্ণ করবে। বিজয় বাংলার জনতারই হবে”, বলা হয় বিবৃতিতে।
ছন্দে ছন্দে ছাত্রলীগ জানায়, ‘দিয়েছি তো শান্তি, আরও দেবো স্বস্তি, দিয়েছি তো সম্ভ্রম, আরও দেবো অস্থি, প্রয়োজন হ’লে দেবো একনদী রক্ত।’