ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়ম সম্পর্কিত অভিযোগ ও পরামর্শ প্রদানের আহ্বান জানিয়ে নাগরিকদের ইমেইল পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এতে আসা মেইলগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে।
সোমবার (১২) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য নিজেই জানিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
পোস্টে তিনি লেখেন, গত ১৯ এপ্রিল ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়ম সম্পর্কিত অভিযোগ ও পরামর্শ প্রদানের আহ্বান জানিয়ে নাগরিকদের ই-মেইল পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছিল। ১১ মে পর্যন্ত মোট ৯০৯টি ই-মেইল পাওয়া যায়। যার মধ্যে ৪০০টি ই-মেইল পর্যালোচনা করে মোট ১২৮টি আমলযোগ্য অভিযোগ ও পরামর্শ চিহ্নিত করা হয়েছে।
পোস্টে যার একটি প্রাথমিক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেছে আসিফ মাহমুদ।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক অভিযোগ-
– স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত: ৪৪টি
– যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত: ৪টি
অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সম্পর্কিত অভিযোগ ও পরামর্শ:
– স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: ৩২টি
– ভূমি মন্ত্রণালয়: ১৬টি
– বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন: ৮টি
– স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়: ৬টি
– আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়: ৫টি
– রেলপথ মন্ত্রণালয়: ৫টি
– পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়: ২টি
– সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়: ৪টি
– প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়: ৩টি
– বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়: ২টি
– শিক্ষা মন্ত্রণালয়: ২টি
– বাণিজ্য মন্ত্রণালয়: ২টি, এবং
– প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, সরকারি কর্ম কমিশন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশন: প্রতিটি সম্পর্কিত ১টি করে।
উল্লেখ্য, ১৭টি অভিযোগ ও পরামর্শ একাধিক মন্ত্রণালয় বা দপ্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
এসব অভিযোগ নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে উপদেষ্টা পোস্টে লেখেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে তাদের সম্পর্কিত অভিযোগ ও পরামর্শগুলোর নিষ্পত্তিতে কার্যক্রম শুরু করেছে। অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের বিষয়গুলো যথাযথভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হবে। বাকি ইমেইলসমূহ পর্যালোচনার কাজ চলছে।