জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ

শেয়ারবাজারে রেকর্ড দরপতনে প্রতিদিনই রাস্তায় নামছেন বিনিয়োগকারীরা

শেয়ারবাজারে রেকর্ড দরপতনে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব বিনিয়োগকারীরা। প্রতিদিনই রাস্তায় নামছেন তারা। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এমন দরপতন অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক। নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় দরপতন থামছে না বলে অভিযোগ তাদের। নিয়ন্ত্রক সংস্থার দাবি, চলমান সংস্কার ও আস্থাহীনতাই দরপতনের কারণ।

টানা দরপতনে সূচক ও লেনদেন কমার রেকর্ড হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। ৫ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে ৪ বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানে সূচক।

এ পরিস্থিতিতে প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ করছেন পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব বিনিয়োগকারীরা। তাদের অভিযোগ, দরপতনের মধ্যেই প্রতিদিনই শেয়ার ফোর্সড সেল বা জোরপূর্বক শেয়ার বিক্রির চাপ দেওয়া হচ্ছে। দরপতন ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ব্যর্থ বলেও অভিযোগ তাদের।

ব্রোকারেজ হাউজের নির্বাহীরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের ঋণ সমন্বয় করতে বাধ্য হয়েই ফোর্সড সেল করছেন তারা। স্টারলিং স্টকের প্রধান নির্বাহী (সিইও) সালামুল লতিফ চৌধুরী বলেন, ‘ইকুইটি নামতে নামতে এমন জায়গায় চলে আসছে যে, আর ওয়েট করলে নেগেটিভ হয়ে যাবে। তখন বিক্রি করে দিতে পারতো। এই সেল প্রেসারটার কারণেও মার্কেট একটু সংকটে আছে। ওয়ারঅল যদি কনফিডেন্স ফিরে আসে এবং ফান্ডিং যদি আসে আশা করা যায় এটা ঠিক হয়ে যাবে।’

বিএসইসি জানিয়েছে, বর্তমানে পিই রেশিও বা মূল্য আয় অনুপাত সর্বনিম্ন পর্যায়ে। সংস্কারের পাশাপাশি, বাজার ঠিক করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও দাবি নিয়ন্ত্রক সংস্থার।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আস্থার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মার্জিন লোন যারা প্রোভাইড করে তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা ফোর্স সেলের প্রেশার থাকে। এই দুই কারণে বাজার ডাউন হওয়ার ট্রেন্ড ছিল। এবং এই সিচুয়েশনে আমাদের যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাই প্রেশার ছিল না।’

শেয়ারবাজারে দরপতনের কারণ খুঁজতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে বিএসইসির তদন্ত কমিটি। সূত্র : আমাদের সময় ডটকম