জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ

ভারতীয় ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট!

মোনায়েম সরকার : শেখ হাসিনা কেন দেশ ছেড়েছিলেন, এই প্রশ্নের উত্তর ইন্টেলিজেন্সের কাছে আছে। তবে এই প্রশ্নের উত্তর জানলে অনেকেই সহজে বিষয়টি হজম করতে পারবেন না। কারণ হাসিনাকে মেরে ফেলার নানা উপায় দিয়ে আলোচনা চলছিল আগস্ট মাসের ১ তারিখ থেকেই। প্রথম দিকে, আমেরিকার ও তার সহচরদের বক্তব্য ছিল হাসিনাকে ধরে বিচার করে সাদ্দামের মতো ফাঁসি দিতে হবে। তারপর, ইউনুসের কাছে মতামত জানতে চাইলে ইউনুস জানায় যে জনসম্মুক্ষে তাকে গণপিটুনি দিয়ে তারপর গুলি করে মেরে ফেলা হোক।

অন্যদিকে, ছাত্রদের গ্রুপ, বিএনপি, জামাত ও হেফাজতের বক্তব্য ছিল সবচাইতে ঘৃণ্য। তারা প্রস্তাবনা দেয় যে নির্যাতনের মাধ্যমে হাসিনা ও রেহানাকে মেরে ফেলা হবে। তারপর তাদের নগ্ন করে সেই ভিডিও অনলাইন ছেড়ে দেয়া হবে যেমনটি গাদ্দাফির ক্ষেত্রে করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, জামাতি সেনাবাহিনী গণভবনের মধ্যেই হাসিনা ও রেহানাকে মেরে লাশ পুঁতে ফেলতে চেয়েছিলো।

তবে বিষয়টি ভারতের কাছে জানাজানি হবার পর হাসিনা ও রেহানাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। এক্ষেত্রে কলকাতা যাবার পর ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি উড়োজাহাজে করে তাদের ভারতের দিল্লির কাছাকাছি হিন্দন এয়ারপোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়।

অন্যদিকে, হাসিনা ও রেহানা হেলিকপ্টারে উঠছেন বলে সে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটি মূলত একজন স্নাইপার করেছেন। মূলত হাসিনাকে মারার জন্য সেই জায়গায় লুকিয়ে ছিল এই স্নাইপারটি। কিন্তু এসএসএফের ব্যাপক তৎপরতার কারণে হাসিনাকে গুলি করতে পারে নি। তবে তার ভিডিও করে ভাইরাল করে হাসিনা পালিয়েছে প্রচার করে হাসিনাকে বদনাম করতে চেয়েছে। এই বুদ্ধিটি ছিল সমন্বয়ক ও আসিফ নজরুলের।

হাসিনা ও রেহানা বেঁচে যাচ্ছে এটা আমেরিকা ও ইউনুস মেনে নিতে পারে নি। আইএসআই-কে পাকিস্তান থেকে মিসাইল দিয়ে হাসিনার উড়োজাহাজ উড়িয়ে দেয়ার জন্য বলা হয়। এই সময়েই ভারত কলকাতা থেকে বিমান পরিবর্তন করে ভারতের দুটি ফাইটার প্লেন দিয়ে ব্যাপক নিরাপত্তা দিয়ে হাসিনা ও রেহানাকে ভারতের হিন্দন এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করায়। ঈষত সংক্ষেপিত। ফেসবুক থেকে