জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
মতামত

বামপন্থীরা একজোট হতে না পারলে একজনও বাঁচবেন না!

মনজুরুল হক : বামপন্থীরা একজোট হতে না পারলে একজনও বাঁচবেন না। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি এমন কনফ্রন্টেশনে চলে যাবে যেখানে দেশ বাঁচানো দূরের কথা, নিজেরাই বাঁচতে পারবেন না। মতাদর্শীক ঐক্যের অপেক্ষায় থাকার সময়ও দ্রুত শেষ হয়ে আসছে। বাঁচতে হলে একজোট হতে হবে। আপনি বাঁচলেই জনগণকে বাঁচানোর উদ্যোগ নিতে পারবেন।

বিপ্লবী রাজনীতিতে শ্রেণিগত, মতাদর্শগত এবং কৌশলগত ঐক্য হয়। এখনকার পরিস্থিতি এই জায়গায় থেমে নেই। বিকশিত হয়েছে ‘ডু অর ডাই’ সিচ্যুয়েশনে।

কৌশলগত ঐক্য হতে পারে। একটা বার্নিং ইস্যুকে সামনে রেখে ‘সার্ভাইভাল ইউনিটি’ হতে পারে। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগকে প্রায় নিঃশেষ করে দেওয়া বিএনপিও আশির দশকের শেষে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে আলাদা জোট করেও আওয়ামী লীগের সাথে এক ধরণের কর্মসূচিগত ঐক্য করেছিল। গড়ে উঠেছিল ১৫ দল, ৭ দল, ৫ দল, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এবং শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। পার্টিগুলোর প্রত্যেকের সঙ্গে প্রত্যেকের মতবিরোধ ছিল। তার পরও ন্যূনতম ইস্যুতে (এরশাদ খেদাও) তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে এরশাদের পতন ঘটে।

সেটা মাথায় রেখে দ্রুত বিএনপি তাদের নীতি-কৌশল চেঞ্জ করতে বাধ্য হবে। তারা আওয়ামী লীগকে সাথে নিয়েই জামাত-ইউনূসবিরোধী আন্দোলন শুরু করবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এখানে ভারতের ভূমিকা যে ‘ক্যাটালিস্ট’ হিসাবে হবে তার আলামত পাওয়া যায় ফখরুল সাহেবের ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক এবং আলাপের বিষয়বস্তু দেখে।

তা যদি দানা বাঁধতে পারে তাহলে বাম-কমিউনিস্ট-প্রগতিশীলরা এক হতে পারবে না কেন? নিজেদের ভেতরকার আন্তঃপার্টি সংগ্রাম, সংশোধনবাদবিরোধী সংগ্রাম, ‘হঠাকারিতা’র অভিযোগ বাক্সোবন্দী করেই তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, এবং সেটা সম্ভব।
গত শতকের ইরান এবং নিকট অতীতের আফগানিস্তানের ইতিহাস, বাস্তবতা, বিশ্বাসঘাতকতা এবং পরিণতি আমলে নিয়ে আবারও ভাবুন। ভাবতে যতো বেশি সময় নষ্ট করবেন, ততোই বিপদের মাত্রা বাড়বে। ৭ অক্টোবর ২০২৪
লেথত ও ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট। সূত্র : https://www.facebook.com/monjuraul