জানুয়ারি ২২, ২০২৫
লেডিঞ্জে গ্রেন্ড, স্টকহোম,সুইডেন
বাংলাদেশ

নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন, দিশেহারা ভোক্তা

ভয়েস অব সুইডেন : সপ্তাহ খানেক আগে পটলের কেজিপ্রতি দর ছিলো ৩০-৪০ টাকা, সেটা বেড়ে এখন ৭০ টাকা। ঠিক এরকম ভাবে প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। ঢেঁড়সের কেজি ১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা কেজি, কচুর ছড়া কেজিপ্রতি ৮০ টাকা। মাঝামারি মানের লাউ ৮০ থেকে ১০০ টাকা। ডিমের দাম সপ্তাহ ব্যবধানে ডজনপ্রতি ২০ টাকা বেড়েছে। প্রতি পিচ ডিম এখন খুচরা দোকানে ১৫ টাকা করে বিক্রি হয়। মুরগি, মাছ, মাংসের দামও ঊর্ধ্বমুখী। চালের দামও বাড়ছে। এক মাসে লিটারপ্রতি সোয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। দিশেহারা ভোক্তা যেন চোখে শষ্যে ফুল দেখছে!

মধ্যবিত্তের জন্য নিত্যপণ্যের বাজার এখন জম উল্লেখ করে কামাল হোসেন নামে একজন ভোক্তা বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার এখন সাধারণ মানুষের জন্য দীর্ঘশ^াস হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজার করতে এসে কোনো রকমে মুখ লুকিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে। মধ্যবিত্ত কারও কাছে নিজের দু:খপ্রকাশ করতে পারে না বলেও তিনি জানান।

লুতফর রহমান একজন চাকরিজীবী বলেন, মানুষের বাঁচার আর পথ আর অবশিষ্ট নেই। ভেবেছিলাম, নতুন সরকার এসেছে। বাজারে পরিবর্তন আসবে। নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরবে। কিন্তু হচ্ছে উল্টো। দাম কমার চেয়ে প্রতিনিয়তই সব কিছুর দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই।

নাম প্রকাশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা বলেন, নিত্যপণ্যের বাজারে যেন আগুন লেগেছে, যে পণ্যেই হাত দেবেন, পুড়ে ছাঁই হওয়ার জোগাড়। এই আগুন নেভানোর যেন কেউ নেই! বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের রেশ ধরে দেশের সরকার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু পরিবর্তন হয়নি মানুষের ভাগ্য। কবে যেন এদেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে, কে জানে!

স্বল্প আয়ের রিকশাচালক তাহের বলেন, আগেই ভালা আছিলাম। টেকা ইনকাম হইতো বেশি, দামও এহনকার চাইতে কম আছিল। এহন ইনকাম কম, দামও প্রত্যেক দিন বাড়তাছে। আমগো মতন মাইনষের আর বাঁচন নাই।

সরকারের কাচে দ্রুতই নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফেরানোর দাবি ভোক্তাদের।